ধূমকেতু নেতা সব,
চেয়ারের কলরব।
নিজ নিজ স্বার্থে,
ভোটের অর্থে,
চমক দিয়ে জিতে গেল?
তারপর,
তারপর আর কি,
জানতাম ওরা ভুলে যাবে,
বসে বসে হওয়া খাবে।
সব, কথা দিয়ে ভুলে গেছে
ধূমকেতু নেতারা।
জনগণ বোকা নেই,
করে দেবে সর্বহারা।।
―সৈয়দ মহঃ সাবির আলি
ধূমকেতু নেতা সব,
চেয়ারের কলরব।
নিজ নিজ স্বার্থে,
ভোটের অর্থে,
চমক দিয়ে জিতে গেল?
তারপর,
তারপর আর কি,
জানতাম ওরা ভুলে যাবে,
বসে বসে হওয়া খাবে।
সব, কথা দিয়ে ভুলে গেছে
ধূমকেতু নেতারা।
জনগণ বোকা নেই,
করে দেবে সর্বহারা।।
―সৈয়দ মহঃ সাবির আলি
সূর্যকিরণ নদীর বুকে চাঁদের জোছনা,
নদী যেন বড়ই সুখী নেই কোন ভাবনা।
চাঁদ সূর্য নক্ষত্রে জীবনও আলোকময়,
মন খুশি ভাবনাহীন সুখের সময়।
পাহাড়গর্ভ হতে জলরাশি ধায় বেগে--
জীবননদীও বয়ে যায় সুখ দুঃখ আবেগে।
উত্তাল নদী বেপরোয়া- ভরা বর্ষায়,
কি ভীষণ রাগে ফুঁসে দুকূল ভাসায়।
কূল ছাপিয়ে আনে প্লাবন প্রবল বন্যায়,
শোনে না বারণ,বোঝে না- এ অন্যায়।
স্বাধীন চলার পথে তাই বাধা বাঁধন,
যদি সে বাঁধ মানে- মানে অনুশাসন।
আঁকাবাঁকা পথে নদী-কখনো শান্ত,কখনো উচ্ছ্বল;
জীবনপথও সোজা নয় হাসিকান্নার দোলাচল।
ভাঙে নদীর কূল,তরী ভেসে চলে,নদী গড়ে জীবন;
ভাঙে কত ভুল,স্মৃতি ভাসে,ভাঙাগড়া নিয়ে চলে জীবন।
কূল ঢাকা জল,জলে ঢাকা কৃল- জোয়ার এলে,
জীবনেও আসে জোয়ার,প্রাণোচ্ছ্বল জীবন দোলে।
নদী বুঝি ধেয়ে চলে সাগরের পানে,
জীবনও প্রবহমান- স্তব্ধ সে মরণে।
নদীতে জোয়ারভাঁটা,যুগে যুগে সঞ্চিত পলির স্তর;
স্মৃতি বিস্মৃতি,অভিজ্ঞতার সঞ্চয়- এজীবন নশ্বর।।
―লিপি ঘোষ হালদার
আমি একা আছি ভালো আছি।
আমার দুপুর আমার সন্ধ্যা কাটাব আমার মত,
রাতে বসে গুনব তারা আকাশে আছে যত
কারন,আমি আমার মত।
যখন রাত্রিবেলায় আকাশ হতে বৃষ্টি পড়বে ঝড়ে
তখন আমি কাটাবো সময় কবিতার বই পড়ে।
শালিক যখন গায়বে গান,এসে মোর আঙ্গিনায়
ভেসে যাবো তব আমি আপন ভাবনায়।
যখন সাতসকালে গায়ে এসে পড়বে রৌদ্দূর
খাবারের খোঁজে যাবে পাখি,গান গেয়ে সূমধূর
মনের মাঝে তখন আমার উঠবে জেগে ভাটিয়ালি সূর।
যখন রাখাল গরু লইয়া যাবে মাঠে
তখন আমিও যবো আপন পাঠে।
ক্লান্ত পাখি বাসায় ফিরবে গোধূলি বেলা,
শিশু বালক শেষ করবে খেলা,
তখন আমি ভাসিয়ে দেব সৃষ্টিসুখের ভেলা।
যখন রাত্রি বেলায় সবাই দেয় ঘুম
তখন আমার উঠবে জেগে গল্প পড়ার ধুম।
যখন বর্ষায় নদীনালা উঠবে মেতে,
যখন ডালে ডালে উঠবে ফূটে বসন্তে ফুল
তখন আমি আন্দদে হারায় যেন দু-কুল।
এসব জানি আনেকের লাগেনা ভালো
বলে, আর কত ঢং দেখবো যত
কারন, আমি আমার মত।
― আকির হোসেন মল্লিক
বক ডানা মেলে নিভৃতে আকাশ খোঁজে
নদীতে সাঁতার কাটা ছেলে নৌকায় ওঠে,
ক্রমমান শস্যখেত জিমন্যাস্টিকে হয় আবদ্ধ,
দুই লেডিস অপরূপা সিঁড়িতে বসে হৃদয়খননে।
মাটির পৃথিবী , মাটির মানুষ জলের আঁধারে,
স্বপ্নালুর স্বপ্নফেরীতে একগুচ্ছ দুব্বাঘাস,
সব ঘেটে ‘ঘ’ হয়,আঁধার- বাদার হয় মন
অচেতনের গ্রাহ্য সম্বলিত খড়ের কুঁড়ের আকাশে।
আর এক বধূ টুকটুকে লাল শাড়ি পড়ে--
শেষ সন্ধ্যায় প্রথম সন্ধ্যা প্রদীপ জ্নালায়।
― শুভঙ্কর বিশ্বাস
একটা পেন গোটা দেশটাকে,
ভেঙে ফেলে ম্যাপে।
আর একটা পেন কোর্টের টেবিলে,
পাপ-পুন্য মাপে।
একটা পেন পরীক্ষার খাতায়,
ভাগ্য লিখে আসে।
আর একটা পেন লাল কালিতে,
খাতা দেখে হাসে।
একটা পেন নীল-লাল রঙে,
প্রথম লেখা শেখে।
আর একটা পেন প্রতি কাগজে,
প্রতিবাদ তুলে রাখে।
একটা পেন ডাইরির পাতা,
গানে ভরিয়ে তোলে।
আর একটা পেন রাস্তায় পরেই আছে,
এই যদি কেও তোলে।
একটা পেন লিখছে চিঠি,
সারাটা রাত জেগে।
আর একটা পেন হিসেব মেলায়,
মাইনে পাওয়ার আগে।
একটা পেন শুধু লিখেই যাচ্ছে,
ছাপা হচ্ছে বলে।
আর একটা পেন কেবলই শুনছে,
লিখতে হবে বলে।
একটা পেন থমকে আছে,
প্লট পায়নি বলে।
আর একটা পেন ভাঙবে বলে,
আসামী কেঁদে ফেলে।
একটা পেনের একটা সই,
ফেরাতে পারে প্রাণ।
আর একটা পেনের ক্ষমতা খুব,
রোজ বাড়ায় সম্মান।
একটা পেন সাদা পোস্টারে,
শব্দ জুড়ে দেয়।
আর একটা পেন খালি পেটে,
গরম ভাত জোগায়।
একটা পেনের কথা সবার
মুখে শোনা যায়।
আর একটা পেনের ব্যাথা
ঢাকনাতেই থেকে যায়।
একটা পেন দেখছে সবই, শুনছে সবই,
লিখছেনা কোন কিছু।
এই যদি মৌ-রানীর কর্মী,
লাঠি নিয়ে, নেয় পিছু।
― আমিমোন ইসলাম
আসতে হবে ঘুরে ফিরে, অবজ্ঞা এই দ্বারে।
বিশ্ব যখন নিঃস্ব হবে, ডুববে অহংকারে।
তাই নতুন জগৎ গড়ছে স্রষ্টা, আঁকছে সভ্যতা।
সেই জগতেই আসতে হবে, বসতে ভালো হাজার কবিতা।।
সৈয়দ মহঃ সাবির আলি
এই কালশিটে দাগ ঢেকে গেলে জলছাপে
ফুল ফোটে কৃষ্ণচূড়ায়
আর ঘরছাড়া জ্যোৎস্না, স্বপ্ন পায় ভালোবাসায়
তারপর ঘুণ ধরা কড়িকাঠ
আড়মোড়া নিলে
আদ্যি কালের তেঁতুল পাতার আড়ালে
রাত নামে
পেঁচার শিকারী ঠোঁট হয়ে
গুনগুন স্বরে ভবিষ্যৎ তখন
অস্বীকার করে জীবনের সব আলিঙ্গন
তবুও শোধ হলে সব ঋণ
ক্ষতরা হাসে হাসনুহানা পাপড়ি হয়ে
আর লকলকে জীভে তিরবিদ্ধ হয়
শ্রাবণ আকাশ
কোন এক মন্ত্রবলে বনফুল হয় ঈশ্বর
আর প্রসব যন্ত্রনায় কাঁদে বেচারা সময়
বেনামি মৃত্যু উপত্যকায়
তখন রিমঝিম ভেজে
বেলওয়ারী রূপকথা
― সন্দীপ ভট্টাচার্য
ধূমকেতু নেতা সব, চেয়ারের কলরব। নিজ নিজ স্বার্থে, ভোটের অর্থে, চমক দিয়ে জিতে গেল? তারপর, তারপর আর কি, জানতাম ওরা ভুলে যাবে, বসে বসে হ...